চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য হাইব্রিড মডেলই পছন্দ আইসিসির
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ১৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) টুর্নামেন্টের জন্য হাইব্রিড মডেলকে অব্যাহতভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে, আইসিসি ১০টি ম্যাচ পাকিস্তানে এবং পাঁচটি অন্য একটি দেশে – যেখানে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে – এমন একটি হাইব্রিড মডেল প্রস্তাব করতে পারে।
এছাড়াও, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে, যদি ভারত সেমিফাইনাল বা ফাইনালে না পৌঁছায়, তবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল পাকিস্তানেই আয়োজনের চিন্তা করা হতে পারে। তবে, এটি পরিচালনা ও লজিস্টিক দিক থেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
বিকল্প ভেন্যু নিয়ে আলোচনা
ভারতের ম্যাচগুলো কোথায় আয়োজন হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে, দুবাই এবং আবুধাবি সহ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং আবহাওয়াগত সুবিধার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে।
পিসিবির অবস্থান ও সম্ভাব্য ফলাফল
পিসিবি সম্ভবত এই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ করবে না। তবে, আইসিসি বোর্ডের ১৪ সদস্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাইব্রিড মডেলের পক্ষে থাকলে পিসিবি বাধ্য হতে পারে। যদি পিসিবি এই মডেল প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে পুরো টুর্নামেন্টই পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব উঠতে পারে।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করতে সময় চাইতে পারেন। তবে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ভারতের অংশগ্রহণ ছাড়া আয়োজন করলে আইসিসি ও পুরো ক্রিকেট ইকোসিস্টেম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। এতে পাকিস্তানেরও বড় আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।
রাজনৈতিক অস্থিরতায় শ্রীলঙ্কার সিরিজ বাতিল
এদিকে, পাকিস্তানে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শ্রীলঙ্কা এ দল পাকিস্তান শাহীনের বিপক্ষে চলমান সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ থেকে সরে এসেছে। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ফেডারেল রাজধানীতে চলমান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে শ্রীলঙ্কা এ দল ও পাকিস্তান শাহীনের সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে।’ তবে, পিসিবি এই পরিস্থিতিকে নিরাপত্তা সমস্যার সঙ্গে মেলাতে নারাজ।
এই পরিস্থিতিতে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।