জাকির-জয়দের ব্যর্থতার শেষ কোথায়
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হয় দ্বিতীয় উইকেটের পর! কথাটা দিনে দিনে সত্যিই হয়ে দাঁড়াল। একের পর এক ম্যাচ যাচ্ছে আর মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসানদের ব্যর্থতার ছবি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতেছে। পরিবর্তন এনেও যে সফল হয়েছে, তাও নয়। সাদমান ইসলামকে দিয়েও কয়েকবার চেষ্টার ফল এসেছিল একই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেও উদ্বোধনী জুটির ব্যর্থতার গল্প দীর্ঘায়িত হলো।
অ্যান্টিগায় ৯ উইকেটে ৪৫০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল স্বাগতিকরা। জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় দুই ওপেনারকেই হারায় সফরকারী বাংলাদেশ। ৪০ রানে দিন শেষ করার পর তৃতীয় দিনের শুরু করেন দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন দিপু। প্রথম ঘণ্টাও টিকতে পারেননি শাহাদাত। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টা শেষে মেহেদী হাসান মিরাজদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৫ রান। ৩৪ রানে অপরাজিত মুমিনুলের সঙ্গী লিটন দাসের সংগ্রহ ২১ রান।
চলতি বছর খেলা প্রায় সবকয়টি টেস্টেই উদ্বোধনী জুটিতে নড়বড়ে ছিল বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জেতাতেও সেটার ছাপ পড়েছিল ঠিকই। এরপর ভারত সফর, ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর এখন ওয়েস্ট উইন্ডিজ—ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ জাকের-জয়রা। দলীয় ২০ রানের মাথায় ফেরেন ওপেনার জাকির। ১৫ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান জেইডেন সিলস। পরের ওভারেই ৫ রান করে আলজারি জোসেফের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদুল। পর পর দুই ব্যাটারকে হারানোর পর দিনের শেষটা টেনেছিলেন মুমিনুল ও শাহাদাত।
তৃতীয় দিনের শুরুটাও যেন ছন্দছাড়াই হলো। ৪৫ রানের ছোট্ট জুটি ভেঙে স্বাগতিকদের ব্রেক থ্রু উপহার দিলেন কেমার রোচ। ৩৩তম ওভারে দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন তিনি; খোঁচা দিয়ে প্রথম স্লিপে তালুবন্দি হন শাহাদাত। ৭১ বলে ১৮ রান করে থামেন তরুণ এই ব্যাটার। অথচ উইন্ডিজকে এত বড় লিড এনে দেওয়ার পথে কার্যকরী ভূমিকা ছিল টেলেন্ডারদেরও। বিশেষ করে শেষ দিকে জাস্টিন গ্রিভসকে সেঞ্চুরি পেতে সহযোগিতা করেছিলেন রোচ-সিলসরাও। ১৪৪ বল খেলে ক্যারিয়ারসেরা ৪৭ রানের ইনিংস উপহার দেন রোচ। কিন্তু বাংলাদেশের টপ অর্ডারই ব্যর্থ হয়ে মিডল অর্ডারকে চাপে ফেলল।