হাসিনা সরকার ব্ল্যাকমেইল করে জাপাকে নির্বাচনে এনেছিল: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ২০২৪ সালে জাতীয় পার্টিকে হাসিনা সরকার ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনে এনেছিলেন। এবং ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার সরকারের সময় তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদে করে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন তিনি এ অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে কাকরাইল জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এই সংবাদ সম্মেলনে ডাকা হয়।
জিএম কাদের বলেন, একটি গোষ্ঠি অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করছে, আমরা আওয়ামী লীগের দোসর, এসবের অপবাদের সত্যতা নেই, এর পেছনে ষড়যন্ত্র চলছে, এইসবের মাঝে কিছু বুদ্ধিজীবী জড়িত।
তিনি বলেন, আমাদেরকে বলা হয় আওয়ামী লীগের দোসর? কীভাবে ২০০৮ সালে নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। সেই শেখ হাসিনার সরকারে আমি মন্ত্রী ছিলাম। তাই বলে আমরা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও অন্যায়ের ভাগীদার হবো কেন? সেই সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী থাকাকালে হজযাত্রীদের খারাপ বিমানে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তার প্রতিবাদে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, তখন এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে আমি যে সঠিক ছিলাম তা উঠে এসেছিল। যার কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে দেয়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পার্টি কখনও সন্ত্রাসের আশ্রয় নেয়নি বলে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় আলাপ-আলোচনা করে চলার চেষ্টা করেছি।
‘১৯৯০ সাল থেকে আমাদেরকে শেষ করার যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, এখনকার জাতীয় পার্টি নিয়ে যা হচ্ছে তা সেই ষড়যন্ত্রের অংশ। গত কিছুদিন ধরে একটা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের দোসর বলে নানা অপ্রচার করছে। আমরা শুরুতে ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার এলে এটা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা এখনও চলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন- জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল করিম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও স্ত্রী শেরিফা কাদের প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতা’ ব্যানারে একদল লোক একটি মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যায়। এ সময় সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আগুন দেয়া হয়। দুই পক্ষই দাবি করেছে, তাদের ওপর আগে হামলা হয়েছে।