ক্ষমতায় গেলে বিদেশে যুদ্ধ না করার প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশে কোনো যুদ্ধ করবে না এবং কোনো মার্কিন সেনাকে বিদেশে পাঠানো হবে না বলে ঘোষণা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রোববার (২৭ অক্টোবর) পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে এক নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তব্য দেয়ার সময় ওই প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে যতগুলো আন্তর্জাতিক সংকটে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সেসবের প্রত্যেকটির সমাধান করবেন তিনি এবং এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবেন ইউক্রেন ও গাজা সংঘাতকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ হিসেবে পরিচিত পেনসিলভানিয়ার এক সমাবেশে স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ অক্টোবর) বক্তৃতা দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, যদি কমালা হ্যারিস নির্বাচনে জয়ী হয়ে আগামী চার বছরের জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য অন্তত আগামী চার দশক পর্যন্ত জ্বলবে এবং আমাদের যেসব সন্তানদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে, তারা বেঘোরে মারা পড়বে। তাই কমালাকে ক্ষমতায় পাঠানোর অর্থ হলো লাখ লাখ মার্কিন তরুণ-তরুণীর জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা। আমাদের ছেলে-মেয়েরা এমন সব দেশে যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে, যেসব দেশের নামই হয়তো অনেক মার্কিন নাগরিক শোনেননি।
ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আমাকে নির্বাচিত করলে, কোনো অপ্রয়োজনীয় ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের পাঠানো হবে না। আপনারা আপনাদের সন্তানদের কাছেই রাখবেন, তাদের দূর দেশে জীবন হারানোর জন্য পাঠানো হবে না।
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটির পার্টির প্রার্থী দেশটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস।