ইসরায়েলের হামলার পর উভয় সংকটে ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা আরো বেড়েছে সর্বশেষ তেহরানে ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে। শনিবার ভোররাতে চালানো এই বিমান হামলায় ইরানের চার সেনা নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর নিজেদের রক্ষা করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধ আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শনিবার ভোরে তেহরান ও এর আশপাশে হামলা চালিয়ে ইরানকে উভয় সংকটে ফেলেছে ইসরায়েল। একদিকে পাল্টা হামলা চালালে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা, অন্যদিকে হামলা না চালালে নিজেদের দুর্বল হিসেবে উপস্থাপন করার উভয় সংকটে পড়েছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে তেহরানের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
তবে মোটাদাগে ইরানের হাতে এখন দুটি বিকল্প রয়েছে।
এ মাসের শুরুতে যেভাবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান, তেমন একটি হামলা চালাতে পারে তারা। তবে তেমনটি করলে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল।
ইরানের হাতে যে বিকল্পটি রয়েছে তা হলো পাল্টা হামলা না চালানো। তবে তেমনটি করলে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইসরায়েলের কাছে নিজেদের দুর্বল হিসেবে উপস্থাপন করার একটি ঝুঁকি রয়েছে।
১ অক্টোবর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে আক্রান্ত হলে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে ইরান। গত সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি তুরস্কের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ইরানের ওপর যেকোনো ধরনের হামলার জবাব দেওয়া হবে। শনিবার ইসরায়েলের হামলার আগেও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সরকারের যেকোনো আগ্রাসন পূর্ণ শক্তির সঙ্গে মোকাবেলা করা হবে। অল্প পরিসরে হামলা চালালে ইরান তার জবাব দেবে না এমন সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন তিনি।