গণহত্যাকারীদের রাজনীতি-নির্বাচন থেকে দূরে রাখার দাবি পার্থের
গণহত্যাকারীদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ। বৈঠকে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে ব্যাপারে প্রশ্নও তুলেছেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন সংস্কারের জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলেও জানান আন্দালিব রহমান পার্থ। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের আমলে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করা যায় কি না সে ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আজ (শনিবার) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সাত দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে বরাবরের মতো এবারও ডাকা হয়নি বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা)। সাত দল ও জোটের মধ্যে রয়েছে- গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিল।
সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল বা জোটের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে তাদের আলোচনার মূল কেন্দ্র থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ। এ ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সামনে সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবেন তারা। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের দোসরদের সরানো, গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গেও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবে দলগুলো।
এর আগে, গত ৫ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আজ সংলাপ করবেন তিনি। সবশেষ তৃতীয় দফার সংলাপ শেষের পর এবারের দফায় জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির আমন্ত্রণ পাওয়ার জোর গুঞ্জন উঠলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমর্থকদের প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত দলটিকে ডাকা হয়নি।