রাফাহ শহরে ইসরায়েলের সর্বাত্মক আক্রমণেও নির্মূল হবে না হামাস
গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলা চালালেও হামাসকে নির্মূল করা সম্ভবন নয়। বরং এটা ‘নৈরাজ্য’ উস্কে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের তথ্যানুযায়ী, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান তার ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ জাচি হানেগবির সাথে এক ফোনালাপে আক্রমণের বিষয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের ওপর জোর দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি নিরাপত্তা উপদেষ্টা হানেগবি নিশ্চিত করেছেন যে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বিবেচনায় নিচ্ছে।
রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের ফলে এরইমধ্যে তিন লাখ গাজাবাসী পালিয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ এবং জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, রাফার ওপর পূর্ণাঙ্গ হামলা অন্য যেকোনো যুদ্ধের চেয়ে সেখানে বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলতে পারে।
গত সপ্তাহে রাফায় পূর্ণমাত্রায় অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়া বন্ধ করবেন বলে হুমকিও দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ দুটি অস্ত্রের চালান-৩,৫০০টি ২২৭-কিলোগ্রাম এবং ৯০৭-কিলোগ্রাম বোমা- স্থগিত রেখেছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন এই বোমাগুলো রাফা আক্রমণে ব্যবহার করা হতে পারে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে ১০০ এর মত জিম্মির মুক্তি নিয়ে ইসরায়েল এখনো যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তা অচলাবস্থার মুখে পড়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, রাফায় অবশিষ্ট হামাস যোদ্ধা উৎখাত না করা পর্যন্ত তার দেশ যুদ্ধ থামাবে না।
ব্লিংকেন এই চলমান বিশৃঙ্খলা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসরায়েল যে গতিপথে আছে, তাতে তারা সম্ভবত একটা গেরিলা যুদ্ধ পাবে, যেখানে অনেক সশস্ত্র হামাস থাকবে। অথবা তারা (ইসরায়েল) যদি চলে যায় তাহলে সেখানে একটা শূন্যতা সৃষ্টি হবে যেখানে নৈরাজ্য চলবে, বা হামাস সেই শূন্যতা পূরণ করবে।