নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সমতায় সিরিজ শেষ করল পাকিস্তান
জিততে হলে শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ১২ রান, হাতে ২ উইকেট। বল হাতে এসে শুরুতেই ওয়াইড দিলেন মোহাম্মাদ আমির। এই বল উইকেটরক্ষকের হাতে চলে গেলেও সেট হওয়া ব্যাটার জস ক্লার্কসনকে স্ট্রাইকে পাঠানোর জন্য বদলের চেষ্টা করেন বেন সিয়ার্স। নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই ননস্ট্রাইক প্রান্তে তার স্টাম্প ভেঙে দেন আমির।
পরের বল ইয়র্কার করে ক্লার্কসনকে কোনো রান করতে দেননি আমির। ওভারের দ্বিতীয় বলে আমিরকে লং অন অঞ্চলে খেলে দুইবারের জন্য জায়গা বদলের চেষ্টা করেন ক্লার্কসন ও উইলিয়াম ও’রর্কে। প্রথম রান নিরাপদে নিলেও দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে ননস্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট হয়ে গেলেন ও’রর্কে। এতে ৯ রানের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ১৭৮ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ১৬৯ রানে। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ২-২ সমতায়।
শনিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৫ বলে ১ রান করে ও’রর্কের বলে মাইকেল ব্রাসওয়েলের হাতে ক্যাচ হন আইয়ুব।
এরপর ৪৫ বলে ৭৩ রানের জুটি করেন বাবর আজম ও উসমান খান। ২৪ বলে ৩১ রান করে ইশ সোধির বলে ব্রাসওয়েলের হাতে ক্যাচ হয়ে উসমান ফিরলেও বাবর হাঁকিয়ে ফেলেন দারুণ এক ফিফটি। ৪৪ বলে ৬৯ রান (৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায়) করেন বাবর। সিয়ার্সের দারুণ একটি ইয়র্কারে বোল্ড হন পাকিস্তান অধিনায়ক।
এরপর পাকিস্তানকে লড়াকু পুঁজি এনে দিতে ৩৩ বলে ৪৩ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন ফখর জামান। শেষ ওভারের প্রথম বলে জ্যাকারি ফোকলেসের বলে মার্ক চ্যাপম্যানের তালুবন্দি হন ফখর।
শেষ দিকে ৫ বলে ১৫ রান করে দারুণ ফিনিশিং দেন শাদাব খান। এতে ৫ উইকেটে পাকিস্তানের স্কোরকার্ডে জমা হয় ১৭৮ রান।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই টম ব্লান্ডলের উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। সেই ধাক্কা সামলে টিম সেইফার্টের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৫.১ ওভারেই নিউজিল্যান্ডের বোর্ডে জমা হয় ৫০ রান। উসামা মিরের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৫২ রান (৭ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায়) করেন সেইফার্ট।
এছাড়া ২১ বলে ২৩ রান করেন ব্রাসওয়েল। শেষ দিকে ক্লার্কসনের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৮ রান কোনো কাজে আসেনি নিউজিল্যান্ডের। ১৬৯ রানেই থামতে হয় কিউইদের।
পাকিস্তানের হয়ে ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২ উইকেট শিকার করেন উসামা মির





