বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার আলটিমেটাম দিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। নিউইয়র্ক সিটির ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ বন্ধের নির্দেশ অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বহিষ্কার সত্ত্বেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। খবর রয়টার্স ও বিবিসি’র।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যক্তিকে বর্জন করার ডাক দিয়ে চলছে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু শিবির গেঁড়ে ধারাবাহিক প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয় সময় সোমবার বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা। স্থানীয় সময় দুপুর ২ টার মধ্যে শিবির ছেড়ে না গেলে বরখাস্তের মুখে পড়তে হবে বলে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। কিন্তু কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়নি এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে কর্মকর্তাদের আলোচনাও ফলপ্রসূ হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনুশে শফিক বলেছেন, ফিলিস্তিনপস্থি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইভি লিগ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের জন্য স্থাপন করা তাঁবু শিবির উঠিয়ে নেয়া নিয়ে নেতৃবৃন্দের কয়েকদিনের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর জন্য সহায়ক সম্পদ বর্জন করবে না। তবে গাজায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব রাখছে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাদের তিনটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ম্যানহাটন ক্যাম্পাসের শিবিরে অবস্থান করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেঁধে দেয়া সময়সীমা সম্পর্কে জানার পর কলাম্বিয়া স্টুডেন্ট আপারথেইড ডাইভেস্ট কোয়ালিশন নামের ছাত্রসংঘ একটি সংবাদসম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় বলেন, এ ধরনের ঘৃণ্য ও ভয় দেখানোর কৌশল ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যুর কাছে কিছুই না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত বা আমাদেরকে বল প্রয়োগ করে এখান থেকে সরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ বন্ধ হবে না।
এদিকে দু’সপ্তাহ আগে ক্যাম্পাসে তাঁবু গাঁড়া শিক্ষার্থীদের একটি ছোটখাট বিক্ষোভ দমন করতে সেখানে পুলিশ ডাকা হয়েছিল। সেখান থেকে পুলিশ ১০০ শিক্ষার্থীকে আটক করে। এ ঘটনার পরই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একই ধরনের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।