আমি ইহুদিবাদী, ইসরায়েল না থাকলে ইহুদিরা নিরাপদ থাকবে না
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেকে একজন ইহুদিবাদী হিসেবে পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়ার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে।
সোমবার রাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি-তে ‘লেট নাইট উইথ সেথ মেয়ার্স’ অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘ইহুদিবাদী হওয়ার জন্য আপনার ইহুদি হওয়ার দরকার নেই, আমি একজন ইহুদিবাদী। ইসরায়েল না থাকলে পৃথিবীতে একজন ইহুদিও নিরাপদ থাকতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখানে একটি বিষয় আছে। তাদেরকে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে, যারা হামাসের হাতে গুটির মতো ব্যবহৃত হচ্ছে।’
গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি যদি আমরা সেই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিটি অর্জন করতে পারি, তাহলে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি গতি পরিবর্তনের মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে সক্ষম হব। যেখানে ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিতে পারব।’
রাফাহতে সম্ভাব্য ইসরায়েলি অভিযানের বিষয়ে বাইডেন বলেন, ইসরায়েলিরা ‘আমার কাছে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা সেখানে যাওয়ার আগে রাফাহ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হবে এবং হামাসের অবশিষ্ট আস্তানাগুলোকে খুঁজে বের করবে’।
তবে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট পুনর্ব্যক্ত করেছেন, গাজায় অনেক নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছে।
ইসরায়েলের পক্ষে বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের অপ্রতিরোধ্য সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘যদি এটি (নিরীহ মানুষ নিহত হওয়া) চলতেই থাকে এবং ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভিরের মতো অন্যরা রক্ষণশীল সরকারের থাকে তবে তারা বিশ্বজুড়ে সমর্থন হারাবে, যা ইসরায়েলের স্বার্থে ভালো কিছু নয়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘রমজান আসছে এবং জিম্মি-মুক্তির চুক্তি হলে রমজানের আগে ইসরায়েল গাজায় তাদের যুদ্ধ বন্ধ করবে, যাতে আমাদের সমস্ত জিম্মিকে বের করার জন্য সময় দেওয়া যায়।’
এর আগে আগামী ৪ মার্চের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হবে বলে আশা করেন বলে জানিয়েছেছেন বাইডেন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈঠক করেছেন ইসরায়েল, কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। সেই বৈঠক শেষে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মিশর ও কাতারের কর্মকর্তারা।
সেই বৈঠকেই হামাসকে ৪০ দিন যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ কাতার ও মিশর, যা হামাসের নেতারা পর্যালোচনা করছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স বলছে, হামাসকে দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের মধ্যে আছে, ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। হামাস যদি একজন বন্দিকে মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েল ১০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।