সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়মুক্তি নেই বলে রায় দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। এতে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বিচার করা যাবে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত এ অভিমত দিয়েছেন। খবর বিবিসি।
গণমাধ্যমটি বলছে, ফেডারেল নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে ট্রাম্পের বিচার হওয়া উচিত নয় — আইনজীবীদের এমন যুক্তি স্পষ্টভাবে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আদালতে ট্রাম্পের আইনজীবী দাবি করেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে সব ধরনের অপরাধ থেকে তার দায়মুক্তি আছে এবং তিনি ওই সময় যা করেছিলেন সেটি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।তবে মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসির আদালত তার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ৫৭ পৃষ্ঠার এ রায়ে ওয়াশিংটন ডিসির তিন সার্কিট জজের প্যানেল সর্বসম্মত হয়েছেন।
তারা বলছেন, একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে দায়িত্বে থাকাকালে তার নেয়া পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ বিচারব্যবস্থায় রয়েছে। অভিমতে বিচারকরা আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের দপ্তরের সাবেক দায়িত্ব পালনকারীকে পরবর্তী পুরোটা সময়ের জন্য আইনের ঊর্ধ্বে রাখবে, আমরা তা মেনে নিতে পারি না।’
ট্রাম্প এখন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। যার অর্থ এ মামলা শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গড়াতে পারে। সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে কনজারভেটিভদের ৬-৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবারের আদেশের কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টকে সঠিকভাবে কাজ করতে এবং আমাদের দেশের ভালোর জন্য যা করতে হবে, তা করার অবশ্যই পূর্ণ দায়মুক্তি থাকতে হবে। এ রকম জাতি-বিধ্বংসী আদেশ বহাল রাখতে দেয়া যাবে না।’