ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
পার্লামেন্টে কংগ্রেস অনুমোদন না দেওয়ায় ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রবাহ স্থগিত হয়ে গেছে। যদি এই ইস্যুতে ভবিষ্যতে কংগ্রেস তার অবস্থান বদলায় তবেই আবার তা প্রদান করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি।
তিনি বলেন, আমরা সহায়তা প্যাকেজ সংক্রান্ত সর্বশেষ যে বিলটি কংগ্রেসে পাঠিয়েছিলাম, তা অনুমোদিত হয়নি। এ জন্য আপাতত ইউক্রেনে আমাদের সামরিক সহায়তা স্থগিত রয়েছে। কংগ্রেস যদি ভবিষ্যতে অবস্থান পরিবর্তন করে, ফের তা শুরু হবে।
মিত্র দেশগুলো সামরিক সহায়তা পাঠাতে ১০ হাজার কোটি ডলার চেয়ে কংগ্রেসে গত ডিসেম্বরে একটি বিল পাঠায় বাইডেন প্রশাসন। বিলটির মধ্যে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু সেই বিলটি আটকে দিয়েছে কংগ্রেস।
পরে বাইডেন অবশ্য ডিসেম্বরের শেষ দিকে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নিজের প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা ব্যবহার করে ইউক্রেনে ২৫ কোটি ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজ পাঠিয়েছিলেন। তবে এ জন্য তাকে কংগ্রেসে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তদবিরের জেরে কয়েক বছর ধরে চলে টানাপোড়েন। এরপর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে রুশ বাহিনীকে নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তারপর থেকে চলছে যুদ্ধ।
যুদ্ধে ইউক্রেন বর্তমানে বেশ চাপে রয়েছে। যদিও যুদ্ধের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর অস্ত্র ও অর্থ সহায়তায় সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ইউক্রেন। ইতোমধ্যে দেশটির প্রায় এক চতুর্থাংশ ভূখণ্ড রাশিয়া দখল করে নিয়েছে।
এই যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনকে এ পর্যন্ত একহাজার কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র এবং অর্থ সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।