জিতে মমতাজকে বাংলাদেশের গর্ব বললেন টুলু
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক রেহানা আকতার মানিকগঞ্জের ফলাফল ঘোষণা করেন। সে সময়ে জানা যায়, মমতাজকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ।
নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনবারের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে নিয়ে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বলেছেন, ‘আমি উনার প্রতি সম্মান রাখছি। উনি সিঙ্গাইর প্রার্থী, বাংলাদেশের গর্ব। উনি জাতীয় ও আন্তির্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সঙ্গীত শিল্পী। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। উনার প্রতি আমার শুভকামনা এবং সম্মান আছে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু আরও বলেন, ‘জনগণ আমার ওপরে বিশ্বাস রেখে ভোট দিয়েছে। আমি যেন সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারি। তাদের কাছে যেন কৃতজ্ঞ থাকতে পারি। আমি মানিকগঞ্জ-২ আসনের জনসাধারণকে বলবো, আমরা ধৈর্য্য ধারণ করি। ধৈর্য্যের ফল মিষ্ট হয়, এটা আজকে আমরা প্রমাণ পেলাম। সুতরাং আমরা যেন ধৈর্য্যের সীমা লঙ্ঘন না করি, কোনো অপপ্রচারে কান না দেই। আমরা সকলে ভাই ভাই। আর আমি অকৃতজ্ঞ মানুষ অপছন্দ করি। আমি নিজেই যেন অকৃতজ্ঞ না হই।’
সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মমতাজ বেগম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারও হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিপক্ষে হারতে হলো জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পীকে।
সিঙ্গাইর-হরিরামপুর উপজেলা ও সদরের তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ সংসদীয় আসনে এবার ১০ জন প্রার্থী লড়াই করেন। যেখানে ছিলেন আওয়ামী লীগের মমতাজ বেগম, স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান সফিউল আরেফিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এ কে এম ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম এ নাহিদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের তানভীর হাসান, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের ফেরদৌস আহম্মেদ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জাকির হোসেন।
এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৯। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৩ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩২ হাজার ১১৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৩ জন। এই আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৯৩।