হার দিয়েই সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
তিন দফা বৃষ্টির হানার পর বৃষ্টি আইনে পাহাড়সম লক্ষ্যমাত্রা পায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে নেমে খেই হারায় সফরকারীরা। তবে মিডলঅর্ডারে তৌহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন সমর্থকদের স্বপ্ন দেখালেও শেষ পর্যন্ত তীরে ভিড়তে পারেনি টাইগাররা। ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৪৪ রানে জিতে ১-০ তে এগিয়ে রইলো স্বাগতিকরা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ডুনেডিনে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ৪৪ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৩০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আগে ব্যাট করে উইল ইয়ংয়ের সেঞ্চুরি ও টম লাথামের ৯২ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ২৩৯ রান করে নিউজিল্যান্ড। তবে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৫ রান। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে বাংলাদেশ।
২৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১ রানের মাথায় ফিরে যান সৌম্য সরকার। রানের খাতা খোলার আগেও অ্যাডাম মিলনের আউট সুইঙ্গারে খোঁচা দিয়ে সেকেন্ড স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। ওয়ান ডাউনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ওপেনার এনামুল হক জুনিয়রের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন। তবে ঈশ সোধি বল হাতে তুলে নেওয়ার চতুর্থ বলেই রিভার্স সুইপ খেলার নেশায় পেয়ে বসে শান্তকে। বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৩ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
শান্তর বিদায়ের পর আরও একটা জুটির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু দলীয় ৮০ রানে আউট হয়ে যান তিনি। ক্লার্কসনের শর্ট লেন্থের বলটি একটু বেশিই লাফিয়ে উঠেছিল। পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করে সহজ ক্যাচ দেন বিজয়। ৩৯ বেল ৫ চারে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন দলে ফেরা বিজয়।
ভালো খেলছিলেন লিটন দাসও। কিন্তু বিজয়ের বিদায়ের পর আর মাত্র ১২ রান হতেই ক্লার্কসনের শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ১৯ বলে ২২ রান করা লিটন। টেকেননি মুশফিকুর রহিমও। শান্তর মতোই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে রাচিন রবীন্দ্রের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ৪ রান করা মুশফিক।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তাওহীদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন দারুণ খেলছিলেন। এই জুটিতেই সর্বোচ্চ রান পায় বাংলাদেশ। তবে ততক্ষণে রান ও বলের ব্যবধান বাড়ছিলই। সোধির বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বাউন্ডারির সামনে ধরা পড়েন হৃদয়। আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করেন তিনি। হৃদয়ের বিদায়ের পরের ওভারে বিদায় নেন ২৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৮ রান করা আফিফও।
শেষ দিকে মিরাজ কিছু রান করে হারের ব্যবধান কমান। ২১ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৬ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন সোধি। ২টি করে উইকেট শিকার করেন ক্লার্কসন ও মিলনেও। এছাড়া রাচিন রবীন্দ্র, ডাফি ও ও’রুর্কি ১টি করে উইকেট শিকার করেন।