সাকিব অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন কিনা জানালেন নিজেই
বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। টাইগার জাতীয় দলে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কই তিনি। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে সাকিব জানিয়েছিলেন, আসর শেষে তিনি আর অধিনায়কত্ব করবেন না।
এদিকে আঙুলের চোটের কারণে নিউজিল্যান্ড সিরিজও মিস করছেন সাকিব। তবে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) কিছু বলেননি সাকিব। তিনি যে কারণে বিসিবি বলছে এখনও সব ফরম্যাটের অধিনায়ক সাকিবই।
গত মঙ্গলবার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়ক এখনও সাকিব আল হাসান। অবশেষে নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন টাইগার অধিনায়ক।
গতকাল এক অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব প্রসঙ্গে সাকিব বলেছেন, ‘এই সিরিজের পর আমাদের নির্বাচনটাও শেষ হবে। নির্বাচন শেষে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিবো। কীভাবে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়া যায়। সবাই মিলে চিন্তা করে যেটা ভালো মনে হয় আমরা সেটাই করবো।
যদি মনে হয় আমার আরও কিছুদিন কন্টিনিউ করা উচিত তাহলে সেটাই। আর যদি মনে হয়, শান্ত-মিরাজ-লিটনরা আছে ভালো কিছু করার সম্ভাবনা ওদের মধ্যে আছে। ওরা আরও বেশি ইয়াং, এনার্জেটিক। খারাপ হওয়ার কোনো কারণ আমি দেখি না।’- যোগ করেন সাকিব।
এর আগে সাকিব অধিনায়কত্ব নিয়ে জালাল বলেছিলেন, ‘মিডিয়াতে তার স্টেটমেন্টটা দেখেছি। অবশ্যই এটা আনন্দের ব্যাপার, এখন সে দেশের ক্রিকেটের ওপর বেশি ফোকাস করবে বাইরের ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে। তো এটা আমাদের জন্য বড় একটা স্বস্তিদায়ক খবর। আমরা চাই সাকিব আমাদের এখানে যতগুলো ফরম্যাট আছে, সে যাতে আমাদের দেশের জন্য খেলে এটাই আমাদের কামনা।’
সাকিবকেই লম্বা সময়ের জন্য নেতৃত্বে পাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘এখানে আসলে রিকনসিডারের পার্টটা আসে না। স্টিল সে আমাদের অধিনায়ক। এখন আমরা শান্তকেই দিয়েছি। শান্তকে আমরা বলেছি যে সামনে দুইটা সিরিজ আছে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে, যার জন্য তাকে আমরা অধিনায়কত্ব দিয়েছি। আপনারা জানেন সাকিবকে একটা লম্বা সময়ের জন্যই অধিনায়ক দেওয়া হয়েছে। সব ফরম্যাটেই সে আমাদের অধিনায়ক। সামনেও সে সব ফরম্যাটেই অধিনায়ক থাকবে কি না এরকম প্রশ্ন কিন্তু এখনও উঠেনি। আমরা চাই সেই অধিনায়ক থাকুক।’