ইথিওপিয়ায় ক্ষুধায় ১৭৬ জনের মৃত্যু
পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে খরাজনিত ক্ষুধার কারণে ৭৫ জন নারীসহ অন্তত ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
আঞ্চলিক প্রশাসক হাদুশ আসমেলাশ টাইগ্রে টিভিকে বলেছেন, টাইগ্রেতে দীর্ঘস্থায়ী খরার ফলে সৃষ্ট চলমান মানবিক সংকটের কারণে ১০১ জন পুরুষ এবং ৭৫ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে।
ট্রাইগ্রেতে সাম্প্রতিক সপ্তাহে ক্ষুধায় ২০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গত সপ্তাহে জরুরি অবস্থা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। আর এবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘোষণা দিল।
আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন থেকেই খরায় ভুগছে উত্তর ইথিওপিয়া। ২০১৯ সাল থেকে এ অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমেও কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। অন্যদিকে চলতি বছরের শুরুর দিক থেকে দেশটিতে ত্রাণ কার্যক্রমও বন্ধ করে দিয়েছে জাতিসংঘ। খরা ও ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ক্ষুধায় মরছে ইথিওপিয়া। দুর্যোগ পীড়িত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর পরিবর্তে স্থানীয় বাজারে অবৈধ বিক্রয়ের অভিযোগে দেশটিতে সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ।
যদিও গত ১৩ নভেম্বর তারিখে জাতিসংঘ জানিয়েছে, কিছু সংস্কারের পর যাদের খাদ্য সাহায্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের কাছে চলতি মাসেই পুনরায় খাদ্য সরবরাহ শুরু করা হবে।
তবে আঞ্চলিক অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট গত মঙ্গলবার বলেছেন, জাতিসংঘ পুনরায় ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম খুব সীমিত আকারে শুরু করছে, যা কেবল ২০ শতাংশ মানুষের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে।
ইথিওপিয়ায় সুইডিশ রাষ্ট্রদূত হ্যান্স হেনরিক লুন্ডকুইস্টের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ মানবিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ত্রাণ কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।’
গ্লোবাল সোসাইটি অব টাইগ্রে স্কলারস অ্যান্ড প্রফেশনালস (জিএসটিএস) মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান দুর্ভিক্ষ জরুরিভাবে মোকাবিলা এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে প্রাণহানির এড়াতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। .