কৃষিবিদদের মিলনমেলায় টরেন্টো সিটি মেয়র অলিভিয়া চাউ এবং এমপিপি ডলি বেগম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর কানাডা প্রবাসী গ্রাজুয়েটদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর টরন্টোর গ্র্যান্ড সিনেমন ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল ‘ইউনাইটেড বাউ এলামনাই কানাডা’।
সুন্দর এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টরেন্টো সিটি মেয়র অলিভিয়া চাউ। বাংলাদেশি কমিউনিটির কোন মিলনমেলায় এই প্রথম টরেন্টো সিটি মেয়র উপস্থিত হন। সন্ধ্যা পাঁচটা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলা কৃষিবিদদের মিলনমেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কারবোরো সাউথ-ওয়েস্টের এমপিপি ও লিডার অব অফিসিয়াল অপজিশন ডলি বেগম। অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য এবং ইউনাইটেড বাউ এলামনাই কানাডার কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি।
এরপর অনুষ্ঠানে স্পন্সরদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেন টরেন্টো সিটি মেয়র অলিভিয়া চাউ এবং এমপিপি ডলি বেগম। এ পর্বে প্রাইম স্পন্সরস – ব্যারিষ্টার ওমর হাসান আল জাহিদ, রিয়েলটর আব্দুল আউয়াল, মর্টগেজ এজেন্ট বজলুর মারুফ এর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া ডায়মন্ট স্পন্সর – ব্যারিষ্টার রিজুয়ান রহমান, পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর – আরিফ ইমতিয়াজ, গোল্ড স্পন্সর এগ্রি ফুড কানাডার ইকবাল হোসেন, প্লাটিনাম স্পন্সরস- আলবিয়ন বিল্ডিং এর ফরিদা হক, রিয়েলটর রায়হান চৌধুরী, ব্যারিষ্টার সূর্য চক্রবর্তী, রিয়েলটর এএসএম মোস্তাক, রুপসী বাংলা রেস্টুরেন্টের মারিয়া খন্দকার, গোল্ড স্পন্সরস্ -রিয়েলটর গৌতম পাল, মর্টগেজ এজেন্ট আসহাব খান আসাদ, একাউনট্যান্ট মোর্শেদ নিজাম সিপিএ, ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট তানভীর নাওয়াজ, ওয়াইল্ড অরেঞ্জ রেস্টুরেন্ট এর কৃষিবিদ দুলাল চন্দ্র পাল, সিএম ডিজাইনার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স এর ফয়সাল আহমেদ, রিয়েলটর রাফি আলম, রিয়েলটর হিশাম চিশতি, সার্টিফাইট হোম ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন, পোদ্দার হোমস্ এর প্রনবেশ পোদ্দার ও সুজয় পোদ্দার, রিয়েলটর দুলাল ভৌমিক,
মর্টগেজ এজেন্ট তাহমিদ আহমেদ, কাওসার ফ্রেস ফুড এর মোঃ কাউসার, সিলভার স্পন্সরস- রিয়েলটর ফারাহ খান, একাউনট্যান্ট গৌতম সরকার সিপিএ, রিয়েলটর চিত্ত দাস, ডেনফোর্থ ইনক এন্ড টোনার লিমিটেডের কৃষিবিদ মো. সামসুজ্জোহা, রিয়েলটর সুমন সাঈদ, অলওয়ে বাংলা এক্সচেঞ্জের মাহবুবুল আই চৌধুরী (সাইফুল), এবং রিয়েল্টর কৃষিবিদ মাহবুব আলম।
সম্মাননা প্রদান শেষে গান ও নাচ পরিবেশিত হয়। সংগঠনের শিল্পীদের বাইরে অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বাংলাদেশের লোক সংগীতের কিংবদন্তী শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। তিনি ভাওইয়াসহ ১২টি গান পরিবেশন করেন। রথীন্দ্রনাথ রায়ের গান অন্য রকম আনন্দ দিয়েছে কৃষিবিদ এলামনাই, স্পন্সর এবং অতিথিদের। অনুষ্ঠানে বয়োজ্যেষ্ঠ কিংবদন্তি শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় যেভাবে গান গাইলেন তা টরেন্টোবাসির অনেক দিন মনে থাকবে।
কৃষিবিদ পরিবারের ও তাদের অতিথিদের পরিবেশনা ছিল অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
সাংস্কৃতিক পর্ব পরিচালনা করেন মোসাদ্দেক হোসেন ও হাশমত আরা চৌধুরী (জুঁই)।কোরাস ও একক সংগীত পরিবেশনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন- সুমন সাইয়েদ, হাশমত আরা চৌধুরী (জুঁই), প্রশান্ত সরদার, সুনীতি সরদার, নাসিরুল ইসলাম (মিঠু) সোমা চৌধুরী, রওশন আরা পারভীন লাভলী, ফরিদ আহমেদ, জিয়া চৌধুরী, ইন্দিরা রায়, নুরুন নাহার খানম শিরিন, মুনিরা সারুয়াত, সীমা হক, জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন, মোস্তারী লাইজু, শুভাশীষ রায়; দ্বৈত নৃত্যে -নিঝুম রুপা পাল, নন্দিনী রুপা; স্বরচিত আবৃত্তি: তারানা নাজনীন; যন্ত্র সংগত: জাহিদ হোসেন, রাজিব, অপূর্ব, দেবাশীষ সাহা ও অখিল রায়; শব্দ নিয়ন্ত্রনে জিয়াউল ভুঁইয়া, ভিডিওগ্রাফীতে তাহসান রাশেদ শাওন।
বাউ ফ্যামেলি নাইটে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ফায়েজুল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক মির্জা মোস্তাফিজুর রহমান। এলামনাইয়ের সদস্য, তাদের পরিবারের সদস্য, স্পন্সরস, অতিথি, মিডিয়া, মিউজিশিয়ান সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।