নানু মারা যাওয়ার আগে নিজেকে এতিম লাগেনি
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণির নানা। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টা ১১মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর প্রিয় নানাকে ঘিরেই ছিল পরীমণির জীবন। তার একমাত্র অভিভাবক ছিলেন তিনি। একমাত্র বট বৃক্ষকে হারিয়ে শোকে স্থবির হয়ে আছেন হালের এই নায়িকা।
নানা মারা যাওয়ার পর গণমাধ্যমের কাছে মনের অনুভূতি জানিয়ে কোনো কথা বলেননি পরীমণি। তবে এবার সামাজিক মাধ্যমে নানা চলে যাওয়ায় নিজের ভেতরের অজানা কথা সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিলেন তিনি।
দাফনের পর নানা কবরের পাশে বসে থাকা কয়েকটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন পরীমণি। ক্যাপশনে লিখেছেন, এই কবরস্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মারা যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগেনি কোনোদিন।
তিনি জানান, নানার মতো তাকে কেউ ভালোবাসেনি কখনও। পরী লিখেছেন, এই জীবনে আমার নানার মতো কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন, এই মানুষটা আমার জন্য কী ছিল! আজ হয়ত এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে।
এর থেকে বড় শোক আর কখনও নিজের জীবনে আসবে না বলে তিনি লিখেন, এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেবেন, এটা আমার নানুর দোয়া। কত ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই, কত শান্তনায় রেখে গেল আমাকে! জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর…।
প্রসঙ্গত, স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে তাকে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বিকেল তিনটায় বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।