ব্রাজিলের হারের পর বর্ণবাদী আচরণের শিকার রদ্রিগো
ফুটবল বিশ্বের দুই জায়ান্ট ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলা মানেই চরম উত্তেজনা। গত ২২ নভেম্বর বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলায় সেই উত্তেজনার পুরোটাই দেখা গেলো ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারকানা স্টেডিয়ামে। দুই দলের সমর্থক ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে যোগ দিয়েছিলেন মেসিরাও। এরপর মাঠে একের পর এক সংঘাত, ফাউলের ছড়াছড়ি।
উত্তেজনাকর এই ম্যাচে শেষ হাসিটা ছিল আর্জেন্টিনারই। নিকোলাস ওতামেন্দির হেড থেকে পাওয়া একমাত্র গোলে (১-০) জয় পায় মেসিবাহিনী।
ম্যাচে লিওনেল মেসির সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায় ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড রদ্রিগোকে। এরপর অনলাইনে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ঘৃণ্য এ ঘটনার পাল্টা জবাবও দিয়েছেন এই উইঙ্গার।
বর্ণবাদের প্রতিবাদে নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে রদ্রিগো লেখেন, ‘বর্ণবাদীরা সবসময়ই সক্রিয় থাকে। আমার সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা আমাকে অপমান এবং সব ধরনের বাজে কথা দিয়ে আক্রমণ করেছে। সবাইকে দেখানোর জন্য এটি এখানে আছে।’
ব্রাজিল ফরোয়ার্ড আরও বলেন, ‘তারা যা চায় যদি আমরা তা না করি, তাদের মতামত অনুসারে আমাদের যা করা উচিত, যদি সে আচরণ না করি, যদি আমরা এমন কিছু পরিধান করি যা তাদের বিরক্ত করে, যদি আমাদের আক্রমণের সময় মাথা নিচু না করি, যদি আমরা তাদের জায়গা দখল করি তখন বর্ণবাদীরা এই সমস্ত অপরাধমূলক আচরণ করে। তাদের ভাগ্য খারাপ, আমরা এটি কখনো বন্ধ করবো না।’
ওদিন খেলার আগমুহূর্তে স্টেডিয়ামে সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের সমর্থকরা। ঘটনার সূত্রপাত মূলত পতাকা রাখা নিয়ে। আর্জেন্টিনার পতাকা দেখে দুয়ো দিতে শুরু করে ব্রাজিল সমর্থকরা। এর প্রতিবাদ জানায় আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। ঘটনার এক পর্যায়ে ব্রাজিল সমর্থকরা বসার চেয়ার ছুঁড়তে শুরু করে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের দিকে। আর্জেন্টিনা সমর্থকরাও কাউন্টার অ্যাটাক করে বসে। পরিস্থিতি সামলাতে রায়ট পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ।
এমতাবস্থায় আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি সমর্থকদের শান্ত করতে সদলবলে এগিয়ে যান গ্যালারির দিকে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আর্জেন্টিনা দল মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। পরে নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা শুরু হয় খেলা।