জায়েদ খানের হাতে ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। একাধিকবার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পোশাকের প্রতি তার এক ধরণের দূর্বলতা রয়েছে। নিজের কালেকশনে সবসময় নতুন নতুন পোশাক, ফ্যাশন অনুষঙ্গ রাখতে পছন্দ করেন তিনি।
দামি ব্র্যান্ডের পোশাক ব্যবহার প্রসঙ্গেও অভিনেতার স্পষ্ট ভাষ্য, ‘অনেকেরই বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আসক্তি থাকে। তারা হয়তো সেখানেই টাকাপয়সা খরচ করেন। আমার আসক্তি নতুন পোশাকে। অন্য কোনো কিছুতে আসক্তি নেই। অভিনয় করে বা বিভিন্ন স্টেজ শো করে যা উপার্জন করি, তা এখানেই ব্যয় করি। এটা নিয়ে নেতিবাচক কিছু ভাবার নেই।’
জায়েদ খানের পোশাক-পরিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনার কারণ হচ্ছে, সম্প্রতি একটি ভিডিওতে তিনি দাবি করেছেন- তার হাতে ব্যবহৃত ঘড়িটির মূল্য ২৬ লাখ টাকা। মূলত একটি সিনেমার প্রচারণাকে কেন্দ্র করে নিজের ব্যবহৃত ঘড়ি নিয়ে এমন মন্তব্য করতে দেখা যায় এই অভিনেতাকে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জায়েদ খান। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়াগ্রাফি’র প্রচারে দেখা যায় তাকে। যেখানে তিনি বাদেও ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন অভিনেতা।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কীভাবে সিনেমার নামটি প্রচার করা যায় দর্শকদের কাছে, ফারুকী সেই দায়িত্ব দেন তার পাশে বসা মারজুক রাসেলের ওপর। মারজুক রাসেল সিনেমার নাম ভাইরাল করার দায়িত্ব দেন পরিচালক-অভিনেতা আশুতোষ সুজনের কাঁধে। সুজন তখন অভিনেতা নাসিরউদ্দিন খানকে বলেন এই দায়িত্ব নিতে। নাসিরউদ্দিন নিজেকে শিশু ভাইরাল দাবি করে ভাইরালের বাপ উল্লেখ করে এই কাজের দায়িত্ব দেন শাহরিয়ার নাজিম জয়ের ওপর।
এরপর জয়ের কাছে ক্যামেরা আসতেই বলেন, ভাইরালের দাদা জায়েদ খান, এই সিনেমার নাম ভাইরাল করতে পারবেন। এরপরই জায়েদকে উদ্দেশ্য করে জয় জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি পাঞ্জাবি পরেই একটা ডিগবাজি দিতে পারবেন কি না। সঙ্গে সঙ্গে জায়েদ তার হাতের ঘড়িটি খুলে জয়ের কাছে দেন। বলে ওঠেন, রোলেক্স রোলেক্স (ঘড়ির ব্র্যান্ডের নাম)! সাবধানে। জয় তখন জিজ্ঞেস করেন দাম কত? জায়েদ খান জানান, ২৬ লাখ!
এরপরই দুইটি ডিগবাজি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হেলিকপ্টারের স্ট্যান্ডে বসে পড়েন জায়েদ খান। সেখানে পৌঁছে বলেন, ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়াগ্রাফি’ দেখতে ৩০ নভেম্বর চোখ রাখুন চরকিতে।
এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার নিজের ব্যবহৃত পোশাকের দাম জানিয়েছেন জায়েদ খান। যা অধিকাংশই ছিল আকাশছোঁয়া। তবে সত্যিই কি এত দামি ঘড়ি বা পোশাক ব্যবহার করেন তিনি, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।