আজ আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উদ্বোধন
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের উদ্বোধন আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন।
বুধবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে এই রুটে। আর্ন্তজাতিক এই রেলপথ চালুর পর দুই দেশের যোগাযোগব্যবস্থা যেমন সহজ করবে, তেমনি গতি আসবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে।
এর আগে, গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশের রেলের ৬ জন স্টাফ নিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর নবনির্মিত রেলস্টেশন থেকে ৫টি বগি করে একটি ট্রায়াল ট্রেন ভারতের আগরতলা নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক (ট্রায়াল ট্রেন হিসেবে) বাংলাদেশ গঙ্গাসাগর থেকে ছেড়ে যায়। এর আগেও গত সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখে প্রথম ট্রায়াল রান চলে বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে।
জানা গেছে, বর্তমানে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্য আগরতলা থেকে সড়কপথে সরবরাহ হয় পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে, যেটা এখন স্বল্প খরচে রেলপথের মাধ্যমে হবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করেন, রেলপথে পণ্য পরিবহন অনেক বেশি নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বিস্তৃত হবে। যখন আমদানি খরচ কম হবে, তখন ভোক্তা পর্যায়ে কম মূল্যে পণ্য পৌঁছাতে পারায় বাণিজ্য বাড়বে। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এই রেলপথটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পাশাপাশি এই রেলপথ নির্মাণ হওয়ার এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে বেকারত্ব দূর হবে। সামগ্রিকভাবে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে।
টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা বলেন, প্রকল্প, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে রেলপথ। এই রেলপথে ৭৯ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে ভারতীয় অংশের নিশ্চিন্তপুর থেকে আগরতলা রেলস্টেশন পর্যন্ত রেলপথ তৈরির কাজও পুরোপুরি শেষ হয়নি। সেজন্য এখন নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত চলবে ট্রেন। পরবর্তীতে কাজ হলে আগরতলা রেলস্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে ট্রেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু করে। প্রায় ২৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশ পড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে দেড় বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে পাঁচ বছরেরও বেশি।





