আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতি দিল পাকিস্তান
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ওই সিরিজের পরই এশিয়া কাপ, এরপর ভারতে বিশ্বকাপ খেলবে বাবর আজমের দল। মেগা আসর সামনে রেখে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হেড কোচ গ্রান্ট ব্রাডবার্ন আগ্রাসী ক্রিকেটের প্রতিশ্রতি দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট বাস্তবায়ন করা যায় লাহোর ও করাচিতে এক সপ্তাহ ধরে ওই অনুশীলন করেছেন তারা। নেটে তাদের অনুশীলনও হয়েছে আগ্রাসী মনোভাব মাথায় নিয়ে।
ব্রাডবান বলেছেন, ‘নেটে আমরা স্কিল দেখানোর জন্য অনুশীলন করিনি। আমরা উইনিং (ম্যাচ জেতা) ক্রিকেট খেলতে চাই, সেভাবেই অনুশীলন করেছি। মাঠে আমরা এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই। এটা খেলোয়াড়দের কাছে আমাদের অনুরোধ নয়, এটাই চাওয়া। কারণ আমরা ক্রিকেটের নেতা হতে চাই।’
পাকিস্তানের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের দর্শন কেমন হবে তা উল্লেখ করেননি হেড কোচ ব্রাডবার্ন। তবে শ্রীলঙ্কায় তার দল আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে টেস্ট খেলেছে। একই এপ্রোচে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলবে বলে জানিয়েছেন কিউই ক্রিকেট কোচ।
তিনি বলেছেন, ‘কিছু দিক থেকে দল নির্বাচন খুব কঠিন ছিল, কিন্তু অন্য দিক থেকে এটা খুবই সহজ। আমাদের প্লেয়িং একাদশ কেমন হবে, এপ্রোচ কেমন হবে তা নিয়ে আমরা একেবারেই পরিষ্কার। আমরা কখন, কীভাবে আক্রমণ করবো, মিডল অর্ডার ব্যাটিং কেমন হবে এসব নিয়ে পরিষ্কার পরিকল্পনা হয়েছে। আমাদের মিডল অর্ডার নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। সেখানেই স্কিল ও টেকনিক নিয়ে কিছু কাজ হয়েছে।’
ফাহিম আশরাফ প্রায় দুই বছর পর পাকিস্তানের ওয়ানডে দলে ফিরেছেন। তার দলে অন্তর্ভুক্তিই সবচেয়ে বেশি আলোচিত। তাকে ফিনিসার রোলের জন্য দলে নিয়েছে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। কোচও তাকে সমর্থন করছেন। ব্রাডবার্নের মতে, ফাহিম আশরাফের ক্রিকেট এক বছরের মধ্যে অন্য পর্যায়ে চলে যাবে।
স্কটল্যান্ডের হেড কোচ থাকা ব্রাডবার্ন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, স্লগে পেস বলে পাওয়ার হিটিং করার জন্য ফাহিমের চেয়ে ভালো কেউ (পাকিস্তান দলে) নেই। পিএসএসে সে খুবই ভালো খেলেছে। পাকিস্তানের পেস অলরাউন্ডারের অভাবও আছে। আমরা পেস অলরাউন্ডারদের এগিয়ে নিতে চায়। ক্যাম্পে এ নিয়ে কাজও হয়েছে। যারা বল ও ব্যাট হাতে বৈচিত্রপূর্ণ আমরা তাদের সুযোগ দিয়ে যাবো।’