এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে অধিনায়ক সাকিব
তামিম ইকবাল ওয়ানডে দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল কে হতে চলেছে বাংলাদেশের পরবর্তী অধিনায়ক। অবশেষে সাকিব আল হাসানকেই টাইগারদের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
কয়েকদিন আগে একবার নতুন অধিনায়ক নিযুক্ত করতে জরুরি সভায় বসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু সেদিন আলোচনার পরও ঠিক করা যায়নি টাইগারদের নেতৃত্ব। তবে বিসিবি পরিচালকরা মিলে সেদিন বোর্ড সভাপতির হাতেই নতুন অধিনায়ক নিযুক্ত করার দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন। এরপর অবশেষে আজ আসন্ন এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সাকিবকেই অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছেন বিসিবি বস।
সাকিব ছাড়াও অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন লিটন কুমার দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে আসন্ন দুই মেগা টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে অভিজ্ঞ সাকিবের কাঁধেই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।
আজ গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের দল আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। আপাতত এশিয়া কাপের ১৭ জনের দল দেবেন নির্বাচকেরা।’
আগে থেকেই বাংলাদেশের টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন সাকিব। এবার ওয়ানডে দলের নেতৃত্বের ভারও পেলেন তিনিই। এর মাধ্যমে আবার তিন ফরম্যাটেই এক অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ।
অধিনায়ক হিসেবে সাকিব প্রথম দায়িত্ব পালন করেছিলেন ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। সেবার প্রথম টেস্টে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চোটে পড়লে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় দেশসেরা অলরাউন্ডারকে। এরপরের সিরিজ থেকেই পরিপূর্ণভাবে নেতৃত্বের ভার দেয়া হয় তাকে। পরে ২০১১ সালের জিম্বাবুয়ে সফর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
এদিকে ২০১৭ সালে মাশরাফি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানালে আবার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান সাকিব। একই বছরই সাদা পোশাকের ক্রিকেটেও অধিনায়ক হিসেবে তাকেই নিযুক্ত করা হয়। তবে আইসিসির দেয়া নিষেধাজ্ঞায় সে বছরই দ্বিতীয়বারের মত নেতৃত্ব হারান তিনি। এর তিন বছর পর ২০২২ সালে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে নেতৃত্ব পেয়ে অধিনায়ক হিসেবে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। পরে টি-টোয়েন্টির দায়িত্বও ফের তাকেই দেয়া হয়।
এদিকে চোটের কারণে তামিম ইকবাল অধিনায়কের পদ সরে দাঁড়ানোর কারণে এবার ওয়ানডেতে টাইগারদের নেতৃত্ব দেয়ার ভারও পেলেন তিনিই। এর আগে দুই দফায় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৫০ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। আর তাঁর অধীনে ২৩ ম্যাচে জয় পেয়েছে টাইগাররা, হেরেছে ২৬টি ম্যাচে।