এ যেন কিংবদন্তি নায়িকাদের পুনর্জন্ম!
ববিতা, চম্পা, সুচরিতা, কবরী, রোজিনা, শাবানা, অঞ্জনা কিংবা নূতন- সবাই বাংলা সিনেমার দাপুটে অভিনেত্রী। একসময় অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বর্তমানে আড়ালে আছেন তারা। এরমধ্যে কবরী তো চলে গেছেন জীবনের ওপারে। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস টানলে এই নামগুলো এখনো তারার মতো জ্বলজ্বল করে।
দাপুটে এই অভিনেত্রীদের শুধু সিনেমাতেই নয়, টিভি শো কিংবা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানেও এখন আর সেভাবে পাওয়া যায় না। ঢালিউডে এখন এই কিংবদন্তি নায়িকাদের ভুলে থাকার প্রতিযোগিতা চলছে! ঠিক এমন সময় নতুন রূপে তারা ধরা দিলেন অন্তর্জালে। একেবারে এই সময়ের মেকআপ-গেটআপে হাজির হলেন ৬০ থেকে ৯০ দশকের নায়িকারা। রাজীব জাহান ফেরদৌস নামের এক ব্যক্তি পুরনো নায়িকাদের হাজির করলেন এই সময়ের গেটআপে।
এরজন্য তিনি বেছে নিলেন বিশ্বজুড়ে সাম্প্রতিক আলোচিত মাধ্যম এইআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তি। সঙ্গে নিয়েছেন ফায়ারফ্লাই ও ফটোশপের সহযোগিতা। সম্প্রতি তিনি ৮ নায়িকার এই সময়ের ছবি তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যা এখন যথারীতি ভাইরাল। এ যেন পুরনো নায়িকাদের পুনর্জন্মও বলা যায়!
ছবিগুলো দেখে খোদ নায়িকারাই বিস্মিত। এরমধ্যে নূতন তার ওয়ালে নিজের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা আমি! সত্যিই সুন্দর লাগছে।’ সঙ্গে ধন্যবাদ জানান ছবিগুলোর ক্রিয়েটর রাজীব জাহান ফেরদৌসকে। যিনি পেশা হিসেবে কর্মরত আছেন বাটা প্রতিষ্ঠানের জিএম ও ডিজিটাল বিজনেস লিডার হিসেবে।
রাজীব কেন পুরনো নায়িকাদের নতুন করে তুলে ধরছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশির দশককে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ বলা হয়ে থাকে। সেসময়ে অনেক অসাধারণ সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তখনকার শিল্পীরা। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের হাত ধরে সিনেমা হলে যেতাম। কী সুন্দর ছিল ওই দিনগুলো! সেসময়ের ভাবনা থেকেই মনে হলো, সেই সময় দর্শকদের কাছে এই কাজগুলো তুলে ধরা। ভাবনায়- স্বপ্নের নায়িকারা যদি এই যুগের নায়িকা হতেন; তাহলে তারা দেখতে কেমন হতেন? কেমন হতো তাদের স্টাইল? সেই ভাবনাই প্রযুক্তির সাহায্যে দেখার চেষ্টা করলাম। তাছাড়া এখন তো গোটা বিশ্বে চলছে এআই ট্রেন্ড। আমিও তাতে যুক্ত হলাম প্রিয় নায়িকাদের মাধ্যমে।’