বাইশটিলায় জাগরণের ভাসমান সাংস্কৃতিক ভ্রমণ অনুষ্ঠিত
জাগরণ ইসলামি সাংস্কৃতিক দলের ভাসমান সাংস্কৃতিক ভ্রমণ ও ঈদ পুনর্মিলনী সম্পন্ন। খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী ও দলের বারবারের নির্বাচিত পরিচালক হাফিজ মাওলানা আব্দুল করীম দিলদার এর তত্বাবধানে এবং জাগরণের প্রবাসী দায়িত্বশীল সাইফুল ইসলাম তারেকের সহযোগিতায় একবেলার এই সাংস্কৃতিক ভ্রমণে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই, ২০২৩) বিকেলে, সিলেট নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টে জমায়েত হন জাগরণের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংস্কৃতিক দায়িত্বশীল, সুহৃদ, শিল্পী ও কর্মীরা। এরপর সিলেট শহরতলীর এয়ারপোর্ট থানাধীন বাইশটিলা (বেসরকারি মিনি পর্জটন কেন্দ্র) এলাকায় জাগরণের ভাসমান সাংস্কৃতিক ভ্রমণ কাফেলা একাধিক গাড়িতে যাত্রা করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুব জমিয়ত সিলেট মহানগর শাখার সহসভাপতি সৈয়দ উবায়দুর রহমান, জৈন্তা মিডিয়ার পরিচালক মাওলানা ইমাম উদ্দিন, জাগরণের পরিচালক হাফিজ আব্দুল করীম দিলদার, দৈনিক জৈন্তা বার্তার সহসম্পাদক শাহিদ হাতিমী, জাগরণের সংগীত পরিচালক হাফিজ আমানুল্লাহ, উর্দু নাশীদ শিল্পী সায়নান সায়েম, জাগরণ শিল্পী আব্দুল আহাদ, তারেক মাহমুদ, নাবিল আল মাহমুদ, শরিফ আমীন,সাজিদুর রহমান আবীর, শুভাকাঙ্ক্ষী মাওলানা ইমাম উদ্দিন, হাফিজ শাফায়াত প্রমুখ। এছাড়াও সাংস্কৃতিক ভ্রমণে দেশের পরিচিত, সিলেটের সাড়াজাগানো নবীন প্রবীণ একডজন শিল্পী অংশ গ্রহণ করেন।
কয়েকঘন্টা ব্যাপী নৌকাযোগে ভাসমান সাংস্কৃতিক ভ্রমণকে মাতিয়ে রাখেন সিলেটের সাড়াজাগানো শিল্পীবৃন্দ। নানান আয়োজনে, মনোঙ্গ উৎসবটি সবুজ সমারোহে ঘেরা বাইশটিলার এলাকার লেকময় হাওরের পানিতে হওয়ায় নতুনভাবে সবাইকে মোহিত করেছে। কিছু সময় সংগীত পরিবেশন, মধ্যখানে আসরের নামাজ আদায়, কিছুটা সময় অনুভূতি পেশ, কখনো স্রষ্টা মহান আল্লাহর সৃষ্টি নৈপুণ্যের জয়গান, কখনোবা এক্কেবারে মাতার উপর দিয়ে বিমান যাতায়াতের দৃশ্য!
অনুভূতি পেশকালে সংস্কৃতি কর্মীরা বলেন ইসলামী সংস্কৃতি যেমনভাবে মানুষকে সুসংহত করতে পারে, তেমনি অপসংস্কৃতি মানুষকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে পারে। সংস্কৃতি যদি মানবতা ও নৈতিকতাবিবর্জিত হয় এবং ধর্মীয় নীতির অনুকূলে না হয়। আমরা মুসলমান জাতি হওয়ার কারণে আমাদের শিষ্টাচার, সংস্কৃতিও হতে হবে ইসলামী। কোরআন-সুন্নাহ বহির্ভূত কোনো সংস্কৃতিকে ইসলামী সংস্কৃতি বলা যাবে না। কোরআন- সুন্নাহর সীমানা ও চিরায়ত রীতির পরিপন্থি যা কিছু হবে সবই মুসলমানদের জন্য অপসংস্কৃতি। সবমিলিয়ে জাগরণের আজকের ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক ভ্রমণ পরম উৎসাহ এবং আমেজের ছিল।





