বুবলীকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল: শাকিব
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খান তার দ্বিতীয় স্ত্রী শবনম বুবলীর সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। তবে বুবলীর দাবি- তাদের মধ্যে এখনও সম্পর্ক রয়েছে। আর এ নিয়ে গেল ক’দিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। একে অপরকে পাল্টাপাল্টি জবাবও দিচ্ছেন।
এবার শাকিবের কথায় উঠে এসেছে, বুবলীর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। সঙ্গে শাকিব এও জানান, একবার তার বাসা থেকে বুবলীকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, শাকিব খানকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে অর্থবিত্ত ও নাম কামিয়েছে বুবলী।
শাকিবের ভাষায়, ‘বুবলী আমাকে শুধু সাইনবোর্ড হিসেবেই ব্যবহার করেছে। সম্পর্ক, সন্তান, অর্থবিত্ত, নাম- সবই করেছে। আমিও তাকে (বুবলী) অন্ধ বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু শেহজাদকে জন্ম দেওয়ার পর আমেরিকা থেকে দেশে এসে সে নানা স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ল। নানাজনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলল। যা মিডিয়াসহ সবাই জানে।’
শাকিবের বাসায় বুবলী যাওয়া-আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শেহজাদের জন্মদিনেও সে জোর করে আমার বাসায় এসেছে। শেহজাদকে তার নানিই আমার বাসায় নিয়ে আসে। অথচ ঈদের দিনও পরিকল্পিতভাবে বুবলী আমার বাসায় এসেছে। যেখানে আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই, সেখানে আমার বাসায় সে আসবে কেন? ঈদের দিন বাসায় কেউ এলে তাকে তো আর বের করে দেওয়া যায় না। অথচ এর আগে, একবার তাকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। গেল ঈদের দিন সে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে বাসার সবাই বসে খেয়েছি।’
নাটক বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শাকিব বলেন, ‘আমার জীবদ্দশায় আমি তার ছায়াও আর দেখতে চাই না। আমার ধারেকাছে আসা এবং আমার বাসায় প্রবেশের কোনো অধিকার তার নেই। তার আর কোনো নাটক আমি দেখতে চাই না। বিষয়টি অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ জুলাই শাকিব খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শবনম বুবলী। আর ২০২০ সালের ২১ মার্চে সন্তানের বাবা-মা হন তারা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দুজনের ফেসবুক আইডি থেকে সন্তানের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন তারা।