প্রযুক্তির ব্যবহারে শাল্লায় শতভাগ ধান কাটা শেষ
![প্রযুক্তির ব্যবহারে শাল্লায় শতভাগ ধান কাটা শেষ](https://probashinews24.tv/files/uploads/2023/05/344097289_224038800351004_2201718135036373832_n.jpg)
প্রযুক্তির এই যুগে শাল্লাও এর বাইরে নয়। কৃষিতেও প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যার ফলে ডিজিটাল সুবিধা নিতে পারছে কৃষকেরা।
শুধু তাই নয়, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে হাওরে শ্রমিক (বেপারি) সংকট থাকা সত্ত্বেও দু’সপ্তাহের মধ্যেই শতভাগ ধান কাটতে সক্ষম হয়েছে শাল্লার কৃষকেরা।
উপজেলার বেশ কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা গেছে হাওরে বন (খড়ের) টাল ছাড়া ধান কাটার বাকি নেই। শুধু হাওরের বিভিন্ন জায়গা থেকে গোখাদ্য বাড়িতে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
তবে ভান্ডাবিল হাওরের নন হাওরের উঁচু জায়গায় কিছু ধান কর্তনের বাকি থাকতে দেখা গেছে। এই জমিগুলো দো-পসলা ও ধানগুলো সাধারণত মাঘ মাসের শেষার্ধে রোপণ করা হয়। তাছাড়া উপজেলার ৬টি হাওরের মধ্যে কোন হাওরেই বোরো ধান কর্তনের বাকি নেই। বৈশাখের শুরু থেকেই আবহাওয়া পরিস্থিতি অনেকটাই কৃষকদের অনুকূলে থাকায় খুব অল্প সময়েই সোনার ফসল গোলায় তুলতে পেরেছেন কৃষকেরা।
জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ৭০% মূল্য সরকারের দেওয়া ভর্তুকিতে ছোট-বড় ৬২টি ধান কাটার হারভেস্টার ও রিপার মেশিন দিনেরাতে হাওরে ধানকাটার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। সেজন্য শ্রমিক সংকটের কথা ভুলে যান উপজেলার কৃষকেরা। হারভেস্টার মেশিনে ধান কেটে সঙ্গে সঙ্গে মাড়াই করে একেবারে খড়কুটা পরিষ্কার করে দিয়েছে। এতে কৃষকদের কম সময়ে ধান তুলার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবেও সাশ্রয় পেয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় শতভাগ ধান কাটা শেষ। বড় হাওর ছাড়া ছোট (নন) হাওরে ৩৫% এর মত কিছু ধান রয়েছে, কারণ এগুলো প্রজেক্টের আওতায় দু’পশলা জমি হওয়ায় ধান পরিপক্ব হতে দেরি হয়।’
বৃহত্তর ছায়ার হাওরের কৃষক তকবীর হোসেন বলেন, এবছর আমি প্রায় একশো কেদার জমিতে ফসল করেছি। ধান কাটাও শেষ। বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া ভাল থাকায় ও হারভেস্টার মেশিনের সার্বিক সহযোগিতায় খুব কম সময়েই ধান কাটতে পেরেছি। প্রায় ২২শ মন ধান পেয়েছি।’ এই প্রযুক্তি সরকারের উন্নয়নের অন্যতম একটি অংশ বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শাল্লা উপজেলায় এবছর প্রায় ২১ হাজার ৬৯৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। যা থেকে ধানের চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ মেট্রিকটন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা।