তাহিরপুর কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিল ছাত্রলীগ নেতারা
বৈরী আবহাওয়া ও কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির আশংকায় জমির পাকা ধান তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষক কামরুল ইসলাম। এখবর জানতে পেরে শনির হাওরে থাকা দুই বিঘা বোরো জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা।
বৃহস্পতিবার(২৭ এপ্রিল)সকালে তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশ্রাউল জ্জামান ইমন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কামরুল ইসলামের জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
করোনা কালেও ছাত্রলীগ কৃষকের পাশে ছিল এবছরেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মধ্যমে ধান কাটা কর্মসূচি ঘোষণা করে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দ্বীপন্কর কান্তি দে ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপনের নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগ এই উদ্যোগ নেয় এবং তা বাস্তবায়ন করে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশ্রাউল জ্জামান ইমন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে অংশ নেয় সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রকিব রহমান,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়া যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদ ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মুসাব্বির,পলক,অর্ণম,আসমাউল,রুবেল,রাকিব,বিপুল,অভিক,জিসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কৃষক কামরুল হাসান জানান,আমার জমির ধান কেটে দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতারা। তারা কেটে বাড়ি পৌঁছে না দিলে আমাকে ধান কাটার শ্রমিক না হয় মেশিন দিয়ে কাটতে হত। আমার অনেক উপকার হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশ্রাউল জ্জামান ইমন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জানান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নির্দেশে এ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। কৃষকদের উৎসাহ দিতে আর পাশে দাঁড়াতেই আজকে এক কৃষকের বোরো জমিতে পাকা ধান কেটে দিয়েছি। উপজেলা ছাত্রলীগের অনেক নেতাই এতে অংশ গ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় সকল কাজে আছে থাকবে। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী বছরও বোরো মৌসুমেও কৃষকের কষ্টে ফলানো বোরো ধান ঘরে সম্পূর্ণ না উঠানো পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন সব ইউনিয়নে ছাত্রলীগ এই কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে দরিদ্র কৃষকের জন্য এমন তৎপরতায় প্রশংসা ভাসছেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। তাহিরপুর উপজেলার সাধারণ মানুষ,কৃষকসহ সচেতন মহল তাদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আগামীতেও অসহায় মানুষের পাশে তারা এমন নির্ভরশীলতার প্রতীক হয়ে দাঁড়াবেন বলেই তারা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।





