সিলেটসহ ৫ সিটি ভোটে থাকছে ১৯০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান পাঁচ বিভাগীয় কমিশনারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। সিটি নির্বাচনে প্রতি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে এতে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ১০ অনুযায়ী মাননীয় নির্বাচন কমিশন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২৫ মে, খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২১ জুন অনুষ্ঠানের জন্য ধার্য করেছেন।
নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী নির্বাচনি অপরাধ রোধ, বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্বপালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত সময়ের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে গাজীপুর সিটিতে ৫৭ জন, খুলনা সিটিতে ৩১ জন, বরিশাল সিটিতে ৩০জন, রাজসাহী সিটিতে ৩০ জন ও সিলেট সিটিতে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনি এলাকায় নিয়োজিতব্য মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স বিশেষ করে বিজিবি মোবাইল টিম আকারে দায়িত্ব পালন করে। প্রতিটি মোবাইল টিমে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ লক্ষ্যে উল্লিখিত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হবে। তবে স্থানীয় চাহিদা, ভোটকেন্দ্রের অবস্থান ও ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা, ওয়ার্ড বিন্যাস ইত্যাদি বিবেচনায় এবং বাস্তবতার নিরিখে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা হলে সে অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল, মনোনয়ন বাছাই ৩০ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ থেকে ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে।
খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে ও ভোট ১২ জুন।
আর রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন ও ভোট ২১ জুন।