দোয়ারায় স্টেশনে হামলা-ভাঙচুর, ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ
দোয়ারাবাজারে স্থানীয় অটোরিকশা স্টেশনে চালক ও স্টেশন ম্যানেজারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ রাখে পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার ঘটনার পর দুপুর ২টা থেকে উত্তেজিত শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এমন অচলাবস্থা চলে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ মুর্শেদ মিশু আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আশ্বস্ত করলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আছরের পরপরেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয় উঠে।
এ ব্যাপারে সংগঠনের ম্যানেজার ফিরোজ মিয়া বাদি হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সোমবার দুপুরে উপজেলার ছাতক দোয়ারাবাজার সড়কের মাজেরগাঁও এলাকায় আসা মাত্র প্রথমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক রুহুল আমিনের সাথে মাজেরগাঁও গ্রামের জাকির হোসেনের ভাড়া নিয়া কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরবর্তীতে অটোরিকশা চালক রুহুল আমিন স্টেশনে আসার পর তার উপর হামলা চালায় মাজেরগাঁও গ্রামের মছব্বিরের পুত্র সিহাব উদ্দিন, ফয়জুল করিম,আজাদ মিয়া ও জমসিদ আলীর পুত্র রোয়াব আলী এবং জাকির হোসেন। পরে আবারও রামদা নিয়ে হামলা চালায় এবং স্টেশনের ম্যানেজারকে মারপিট করে ও ভাংচুর করে।
তাৎক্ষনিক ভাবে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
চালক সংগঠনের সভাপতি মো. মাসুক মিয়া বলেন, মাজেরগাঁও গ্রামের শিহাব, রোয়াব আলীসহ ১৫/২০জন মিলিত হয়ে স্টেশনের চালক ও ম্যানেজারের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে এবং ম্যানেজারের ক্যাশ থেকে টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়।
আগামী ২৪ ঘন্টার ভেতরে শিহাবসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ ব্যাপরে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ মুর্শেদ মিশু জানান, ‘রমজানের দিনে হঠাৎ গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ার খবর পাই। পরে সংগঠনের সভাপতি মো. মাসুক মিয়ার সাথে কথা বলে, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।’